রাস্তায় পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে যুবক। সেই যুবককেই মেরে ধরে জাতীয় সঙ্গীত ও বন্দে মাতরম গাইতে বাধ্য করছেন উর্দিধারীরা। উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে সঙ্ঘর্ষ চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও। শিউরে ওঠে গোটা দেশ। বছর ২৪-এর সেই যুবকেরই মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃতের নাম ফয়জান।
শুধু ফয়জানই নয়। সেই সময় তার সঙ্গেই যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন আরও দু’জন। তাদের পরিবার সূত্রে খবর, দিল্লীর কদমপুরী এলাকার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সেই সময় পুলিশ উত্তর পূর্ব দিল্লীতে হিংসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল।
মৃত যুবক ফয়জান কদমপুরী এলাকারই বাসিন্দা। জানা গিয়েছে সিএএ বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গিয়েছিলেন ফয়জান। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আচমকা টিয়ার গ্যাসের শেল ছুঁড়লে হুড়োহুড়ি পরে যায়। সেই সময়ই রাস্তায় পড়ে গিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন ফয়জান সহ বেশ কয়েকজন। সেখানেই তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর সেই যুবকদের জাতীয় সঙ্গীত ও বন্দে মাতরম গাইতেও বাধ্য করেন উর্দিধারীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে যা মোবাইলে তুলে রাখেন খোদ পুলিশ।
জিজিটিবি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন ফয়জান। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ফয়জানের দেহগুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লী পুলিশের ডিসিপি উত্তর ভেদ প্রকাশ সূর্য।
কদমপুরীর বাসিন্দা রফিকের কথায়, ‘মসজিদের বাইরে সবাই দাঁড়িয়েছিল। ওদের হিংসায় জড়িত বলে মনে করে পুলিশ ধরে। তার মধ্যে ছিল ফয়জান।’ পরিবারের
অভিযোগ,ফয়জনকে হাসপাতালে তেগ বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কার্যত কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। পরে তাঁকে থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।