দিল্লী হিংসায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০। জখম ২০০ জনেরও বেশি। গত পাঁচদিন ধরে পেট্রল-বোমা ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে তাণ্ডব চলছিল রাজধানীর রাস্তায়। এবার অ্যাসিড নিয়েও পথে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। মুস্তাফাবাদের অনেক জায়গায় অ্যাসিড হামলার খবর মিলেছে। অনেকের চোখ-মুখ, গোটা শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে অ্যাসিডে। দিল্লির তেগ বাহাদুর হাসপাতালে অ্যাসিড ক্ষত নিয়ে ভর্তি অনেকে। অ্যাসিড হামলায় চারজন হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। জ্বালাপোড়া ক্ষত নিয়ে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীর মতো একই পরিস্থিতি কারওয়াল নগরেও। তবে সব কাটিয়ে ধীরে ছন্দে ফিরছে দিল্লী। পুলিশ জানিয়েছে দাঙ্গাবাজদের চিহ্নিত করে নষ্ট হওয়া সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে তাদের থেকেই।
এখনও পর্যন্ত যা খতিয়ান তাতে এই সংঘর্ষে ৭৯টি বাড়ি, ৫২টি দোকান, পাঁচটি গোডাউন, তিনটি কারখানা, চারটি মসজিদ ও দুটি স্কুল ভেঙে বা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির সংখ্যা এখনও হিসেব করে ওঠা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম ( সিট ) এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা দিল্লী পুলিশের অন্যান্য শাখাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, দিল্লী সরকারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতির পরিসংখ্যান নিয়ে তারপরে এই ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিট-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত রবিবার রাতে থেকে দিল্লীর উত্তর-পূর্ব অংশের জাফরাবাদ, কর্দমপুরী, করওয়াল নগর, মৌজপুর, ভজনপুরা, গোকুলপুরী প্রভৃতি এলাকায় যে সংঘর্ষ হয়েছে সেই কাজে কারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারপরে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে।
দিল্লী পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার ব্যাপারে ১০০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানানো হয়েছে, এই হিংসায় ঠিক কী পরিমাণে সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে তার পরিসংখ্যানে সময় লাগবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষেত্রে পূর্ব দিল্লী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।