গত ৫ দিন যাবৎ উন্মত্ততার আগুনে ঝলসে যাচ্ছে দিল্লী শহর ও পারিপার্শ্বিক অঞ্চল। উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে প্রাণহানির ঘটনা। শেষ অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজধানীতে হিংসার জেরে মৃতের সংখ্যা ৪২ ছাড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতেই দিল্লীর উত্তাল রাজনৈতিক প্রসঙ্গে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে দিল্লীর কথা উল্লেখ করে এটাও জানিয়ে দিলেন, ‘লম্বা লম্বা দাড়ি আর টুপি ‘বন্দেমাতরম’ বলার কম্পিটিশন করছে এখন। এটা বেশ ভাল।’
শুক্রবার দিল্লি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শাহিনবাগ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন দিলীপ। সেখানের সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়, শাহিনবাগে মন্দির রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। মন্দিরের উপর যাতে কোনও রকম আঘাত না আসে তার জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে মন্দির। এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষকে আশ্বস্তও করছে তারা। শাহিনবাগে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির এহেন ছবি প্রসঙ্গেই এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা যদি আন্তরিকভাবে হয় তবে খুব ভাল। যারা বলছে আমরা জাতীয় পতাকা হাতে নেব না তারা পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয় সম্পত্তি লুঠ করছে আগুন লাগাচ্ছে। যারা বলত আমরা বন্দেমাতরম গাইব না, লম্বা লম্বা দাড়ি আর টুপি দেখছি কম্পিটিশন লেগে যাচ্ছে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে কে আগে বন্দেমাতরম বলবে। আমার মনে হয় এটাই ভাল পরিবর্তন। যদি কেউ মন্দির না ভাঙত সেটা ভাল হত। মন্দির ভাঙার পর নিরাপত্তা দেওয়াটা নাটক। তবু ভাল, মন্দের ভাল।’
এরপর তিনি আরও জানান, ‘আগামী দিনে এমনটা যেন না হয়, সেটা দেখা উচিত। তাহলে কারও প্রাণহানি হবে না, সম্পত্তিহানি হবে না। আমার মনে হয় দিল্লির ঘটনা দেখে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।’ পাশাপাশি দিল্লি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যারা কেন্দ্রীয় সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছিল, তারাই এসব দাঙ্গা করে সরকারের ভাব মূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আর নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায় কে সামনে রেখে অশান্তি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলগুলি। তাই ঘরের থেকে সাধারণ রমণীদের টেনে এনে দাঙ্গার মাঠে নামানো হচ্ছে। বোরখা পড়ে মহিলারা ইট ছুড়ছে এই ছবি ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে।’
এছাড়াও শাহিনবাগ আন্দোলনকারীরা কলকাতায় আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শাহিনবাগ বা কলকাতা কেন, ফোকটে বিরিয়ানি খেতে পেলে এরা যেকোন জায়গায় চলে যেতে পারে। আসল উদ্দেশ্য দাঙ্গা করার। কারণ সত্যিই যদি সহমর্মিতা থাকতো তাহলে ভেঙে যাওয়া মন্দির রক্ষা না করে, মন্দির যাতে না ভাঙতো সেই চেষ্টাই তারা করত। কিন্তু তা না করে মন্দির ভেঙে দেওয়ার পর এখন নাটক করছে।’