গড়িয়াহাটের মোড়ে বিশাল পোস্টার। আর তাতে পদ্মফুলের মাঝে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাসিমুখের ছবি। তবে কি কলকাতা পুরসভায় বিজেপি’র মেয়র পদপ্রার্থী একদা তৃণমূলের অন্যতম সেনাপতি তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়? অবশেষে কি সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন তিনি? স্বাভাবিকভাবেই পুরভোটের ঠিক আগে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদ্মফুলের ব্যানারে শোভনের এই ছবি দেখে এমনই সব প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু সে সম্ভাবনায় আপাতত শেষ পেরেকটা পুঁতে দিলেন শোভন নিজেই।
১ মার্চ কলকাতায় মেগা-জনসভা অমিত শাহ, জগৎ প্রকাশ নড্ডাদের। সভামঞ্চে থাকার অনুরোধ করে একাধিক বার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা গিয়েছিল শোভনের কাছে। কিন্তু প্রাক্তন মেয়র এ বারও সে ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতার বাইরে থাকায় অমিত শাহের সভায় যেতে পারছেন না তিনি, এ কথা বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, দরজায় কড়া নাড়ছে পুরভোট। ফলে সাড়ে আট বছর কলকাতার মেয়র পদ সামলানো শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও চর্চা বাড়ছে রাজনৈতিক শিবিরে। ২১ ফেব্রুয়ারি সে চর্চা লাফিয়ে বেড়েছিল। প্রায় গোটা দক্ষিণ কলকাতা ভরে গিয়েছিল শোভনের ছবি এবং বিজেপির প্রতীক সম্বলিত ব্যানারে। ‘বেহাল’ কলকাতাকে ‘স্বমহিমায়’ ফেরাতে আপনি ফিরে আসুন— শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি এই রকম আহ্বান জানানো হয়েছিল সেই সব ব্যানারে। ওই ব্যানারকে ঘিরে রাজনৈতিক শিবিরে তুমুল কৌতূহল তৈরি হয়েছিল।
দীর্ঘ দিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে থাকা শোভন এ বার হয়তো নামতে পারেন আসরে, পুরভোটের মুখে কলকাতায় হয়তো বিজেপির হাল ধরতে পারেন তিনি— এই রকম জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল ব্যানার কাণ্ডের পরে। শোভনের নাম ও দলের প্রতীক সম্বলিত ব্যানার নিয়ে রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিতে থাকায় সে জল্পনা আরও বাড়ে। কিন্তু ব্যানার-কাণ্ডের পরে যে তিনি সক্রিয় হয়ে উঠলেন, এমন কোনও ছবি এখনও তো দেখা যায়ইনি। বরং বৃহস্পতিবার বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে, তাতে পুরভোটে শোভনের সক্রিয় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা প্রায় তলানিতেই বলা যায়।