দিল্লীতে ভয়াবহ হিংসার পর দিল্লী পুলিশকে তুলোধনা করার পাশাপাশি নির্বাচনের সময়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যকারী সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এস মুরলীধর। এহেন নির্দেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য বদলি করে দেওয়া হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের ওই বিচারপতিকে। এর ঠিক পরই কেন্দ্রের তরফে আদালতের কাছে জানিয়ে দেওয়া হল ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর করার কোনও প্রয়োজন নেই।
যে হেট স্পিচ দিল্লীর হিংসার অনুঘটক বলে অভিযোগ উঠেছে, তা বলার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর দায়ের করা সম্ভব নয় বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লী পুলিশ। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, তাড়াহুড়ো করে মামলা করায় সমস্যা রয়েছে। এখন মামলা করার সময় নয়। যথাসময়ে এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানিয়ে তিনি দিল্লী হাইকোর্টের থেকে কিছুটা সময় চান। এরপর চার সপ্তাহ সময় দেয় আদালত।
বুধবারই দিল্লী পুলিশকে একহাত নিয়ে তীব্র ভর্ত্সনা করেছিল দিল্লী হাইকোর্ট। বিচারপতিরা বলেন, যাঁরা উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ক্ষেত্রের বিলম্ব হওয়া উচিত না। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য দিল্লী পুলিশকে বলে আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের এজলাসে চার বিজেপি নেতার উসকানিমূলক মন্তব্যের ভিডিও। এই চার নেতারা হলেন, কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, অভয় ভার্মা ও প্রবেশ ভার্মা। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।