শাহিনবাগ নিয়ে ‘কুমন্তব্য’ করেছিলেন আগেই, পরবর্তী সময়ে দিল্লীর জাফরাবাদ এবং চাঁদবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ছাড়ার আগে যদি আন্দোলন না তোলা যায়, তাহলে তাদের লোক পথে নামবে! এই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মন্তব্য করার ঠিক পরের দিনই উত্তপ্ত হয় দিল্লী, যার রেশ এখনও বহাল। এই ভিডিও প্রসঙ্গেই এক তথ্য পেয়ে দিল্লী পুলিশের কাজে রীতিমতো হতবাক দিল্লী হাইকোর্ট।
দিল্লীর হিংসার ঘটনা নিয়ে এদিন হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এস মুরলীধর এই তথ্য পেয়ে হতবাক হয়ে যান যে, দিল্লী পুলিশ কপিল মিশ্রের হিংসার বার্তা দেওয়া ভিডিওটি দেখেইনি! জানা যায়, দিল্লী পুলিশের কোনও সিনিয়র অফিসারই বিজেপি নেতার ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ভিডিও দেখেনি তা জেনে। এটা জানার পরেই ওই উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়া ভিডিও চালিয়ে শোনে হাইকোর্ট। সেখানে স্পষ্ট জানা যায় যে কীভাবে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র হিংসার বার্তা দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যে, কপিল মিশ্রের জন্যই দিল্লীতে এই সঙ্ঘর্ষ লেগেছে, এই পরিস্থিতির জন্য তিনিই দায়ী। তার আরও বড় কারণ হল, যে জায়গা থেকে কপিল মিশ্র এই বার্তা দিয়েছিলেন সেখান থেকেই অর্থাৎ জাফরাবাদ থেকেই সঙ্ঘর্ষের সূত্রপাত।
গতকাল এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন দিল্লীর বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। তিনি দাবি করেছেন, যে বা যারা এই অশান্তি ছড়ানোর মূলে রয়েছে তাদের যেন কঠোর সাজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর সরাসরি কপিল মিশ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘কপিল মিশ্র হোন (বিজেপি নেতা) বা অন্য কেউ, কিচ্ছু আসে যায় না কোন ব্যক্তি, কোন দলের সঙ্গে যুক্ত, যদি সে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, ভাইরাল ভিডিওতে কপিল মিশ্রকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনাদের সকলের তরফ থেকে একটা কথা বলে দিচ্ছি, ট্রাম্প যতক্ষ্ণ না যাচ্ছেন (ভারত থেকে) ততদিন আমরা শান্ত থাকব। তারপর কিন্তু আমরা আপনাদের (পুলিশকে উদ্দেশ্য করে) কথাও শুনবো না রাস্তা যদি খালি না হয়। ট্রাম্প যেতে যেতে আপনারা (পুলিশ) জাফরাবাদ ও চাঁদবাগের রাস্তা ফাঁকা করান এটাই অনুরোধ, তারপর কিন্তু আমাদের পথে নামতে হবে।’