কেউ যদি মরতেই আসে তাঁকে বাঁচানো অসম্ভব। রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে ঠিক এই মন্তব্যই করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যাঁরা হিংসার বলি হয়েছে তাদের পরিবারকে কোনও অর্থসাহায্য দেওয়া হবে না সরকারের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মাসের মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা ও গোষ্ঠী সংঘর্ষে বহু মানুষ মারা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তবে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে কোনওরকম সাহায্য করতে নারাজ যোগী সরকার। বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা স্পষ্ট করে দিয়ে যোগী বলেন, কোনও মানেই হয় না ওই পরিবারগুলিকে অর্থসাহায্য দেওয়ার।
বুধবার বিধানসভায় সমাজবাদী পার্টির নেতা রাকেশ প্রতাপ সিং প্রশ্ন তোলেন, গত ৬ মাসে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ও হিংসায় বহু মানুষ মারা গিয়েছে। তাদের পরিবারকে কী ধরণের সাহায্য করবে সরকার? উত্তরে যোগী জানান, ‘প্রায় ৪০০ পুলিশকর্মী বিক্ষোভকারী পাথর ছোঁড়ার কারণে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১ পুলিশকর্মী জখম হয়েছে গুলিতে।’
অন্যদিকে, তিনি অস্বীকার করেছেন যে সংঘর্ষে যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল তা পুলিশের গুলিতে হয়েছে। যোগীর কথায়, বিক্ষোভকারীদের হাতেই বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই সংঘর্ষে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের মতে, হিংসার মধ্যে পড়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।