কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেইমতই নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসেই চালু হল ষষ্ঠ পে কমিশন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী বেতন শুরু হলো বিদ্যুৎ দফতরের অধীনে থাকা তিনটি নিগমের কর্মীদের। এমনই জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এদিন থেকেই ডিএ যোগ করে নতুন নিয়মে বেতন দেওয়া শুরু হল রাজ্যের তিনটি বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের। গতকাল সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় বিদ্যুৎ দফতরের আওতায় থাকা তিনটি নিগমের কর্মীরা ১০ শতাংশ বেশি ডিএ পান। এর পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় ১৭ শতাংশ ফারাক থেকে যাচ্ছে। পে কমিশন অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির সুবিধে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও পাবেন। দাবি করা হয়েছে, এই বেতন বৃদ্ধিতে ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে রাজ্য সরকারের।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, বাংলায় বিদ্যুতের দাম অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এদিন একথা খণ্ডন করে বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেন, শুধুমাত্র চেন্নাই সহ দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি জায়গার তুলনায় বাংলায় বিদ্যুতের দাম কিছুটা বেশি। যদিও দিল্লী বা মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতায় বিদ্যুতের দাম অনেকটাই কম। বাকি সারা ভারতে বিদ্যুতের দামের কাছাকাছি রয়েছে এই রাজ্যের বিদ্যুতের দাম।
মন্ত্রী এও দাবি করেন, নিকট ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। বলেন, ‘চার বছরে বিদ্যুতের দাম বাড়েনি। তা সত্ত্বেও রাজ্যে বিদ্যুৎ-এর মান ভালো। খরচ অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা খরচ না বাড়িয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আয় বাড়াতে চাই। একই সঙ্গে ভালো পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে আয় বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ মন্ত্রী এদিন দাবি করেন, বাংলার প্রায় সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে সুন্দরবনের দ্বীপ অঞ্চলগুলিতে তৃণমূল জামানাতেই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এও বলেন, যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের পৌঁছনো সহজসাধ্য নয় সেই সব জায়গাতেও সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে মমতা সরকার।