কথায় আছে, একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর। এবার তেমন অবস্থার শিকার দেশ। মাসখানেক ধরেই করোনা ভাইরাসের দাপটে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। চীনে মৃত্যু মিছিল চললেও ভারতে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কম কিছু নয়। এর মাঝেই চিন্তা বাড়িয়ে ফের হানা দিল সোয়াইন ফ্লু। আর বেঙ্গালুরুর স্যাপের অফিসে দুই কর্মী সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত জেনেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারতে স্যাপের সমস্ত অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বহুজাতিক জার্মান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা স্যাপ।
বৃহস্পতিবারই বেঙ্গালুরুতে স্যাপের মূল অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরগাঁও ও মুম্বইয়ের অফিসও বন্ধ হতে চলেছে। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সংক্রামিত কর্মীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। স্যাপের বেঙ্গালুরু হেডকোয়ার্টারে শতাধিক কর্মী কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্যই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মুম্বই ও গুরগাঁওয়ের অফিসও বন্ধ থাকবে। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরই সোয়াইন ফ্লুয়ের তাণ্ডবে ভারতে দুশোরও বেশি মৃত্যু হয়। অন্তত সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের রক্তে মিলেছিল সোয়াইন ফ্লুয়ের ভাইরাস। শ্বাসকষ্ট, হাঁচি-কাশি, মাথা ব্যথা, গায়ে যন্ত্রণা, পেটের সমস্যা থেকে মানসিক অবসাদ— এই ভাইরাসঘটিত রোগের উপসর্গ একাধিক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি এমন একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ যা চট করে ধরা পড়ে না। উপসর্গ আর পাঁচটা ভাইরাসঘটিত জ্বরের মতোই। ফলে চিকিৎসা শুরু করতেই বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তবে করোনা ভাইরাসের মতোই, প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষায় সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়লেই আক্রান্তকে আলাদা ভাবে রাখা হয়। কারণ এই সংক্রমণ ছড়ায় হাঁচি-কাশি, আক্রান্তের সংস্পর্শ থেকেই।