চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি গঙ্গার পূর্ব পাড়ে নৈহাটিতে বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে গঙ্গার উলটো দিকে চুঁচুড়ায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু বাড়ির দরজা জানালা ভেঙে যায়। ফাটল ধরে বাড়িতে। সেদিনের বিস্ফোরণের জেরে যে বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই পরিবারের সদস্যদের হাতে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আর্থিক মূল্য বাবদ চেক তুলে দেওয়া হল।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ধাপে ২৫ জনের হাতে ৬ হাজার ৩০০ টাকার চেক তুলে দিল প্রশাসন। এদিনের চুঁচুড়ার বকুলতলায় রেড ক্রস সমিতির দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার-সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা। আজ, শুক্রবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯৭টি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থ বাবদ চেক তুলে দেওয়া হবে।
এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান নৈহাটির ঘটনার পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে সমস্ত তথ্য নবান্নে পাঠিয়েছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৩৯৭ জন যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য যে ভাবেন, তিনি যে কতটা মানবিক তা এদিনের এই চেক বিতরণই প্রমাণ করে।
চুঁচুড়ার বকুলতলার বাসিন্দা গীতাদেবী চেক বিতরণের খবর পেয়ে রীতিমতো খুশি হয়ে জানান, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের এই দুর্দশার কথা যে করে হোক মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাক। যার জন্য বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরই আমরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল যদি দিদির কাছ পর্যন্ত আমাদের কথা পৌঁছায় তাহলে নিশ্চয় একটা ব্যবস্থা হবে।’