সেই নোটবন্দী থেকে শুরু করে বিজেপি আমলে দেশে তৈরি হওয়া অসহনীয় পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বারবারই মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পকে যেমন ‘ভাঁওতাবাজি’র আখ্যা দিয়েছেন তিনি, তেমনি বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকেও বলেছেন প্রহারের মন্ত্র। এবার নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে এনপিআর, এনআরসি নিয়ে আবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি।
বুধবার এ সম্পর্কে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের পর অমর্ত্য সেন বলেন, ‘যা হচ্ছে, তা অসাংবিধানিক। নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘আমার বাবা-মায়েরও সার্টিফিকেট চাইলে কোথা থেকে দেব?’
গতকাল কলকাতায় এসে সকাল এবং সন্ধেয় দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন অমর্ত্য। সকালে শিশির মঞ্চে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় প্রতীচী ইনস্টিটিউটের পক্ষে আদিবাসীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির হলে। সএখানে দেশের সাম্প্রতিক সিএএ, এনপিআর, এনআরসি প্রসঙ্গে কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই বিজেপির সমালোচনায় সরব হন তিনি।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসছেন তাই গুজরাটে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আবার অর্থনীতির অগ্রগতিতেও ভারতকে প্রথমদিকে রাখা হচ্ছে। এ সম্পর্কে আপনার মত কী? জবাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এটা চিন্তার বিষয়। রাস্তার পাশে যারা থাকে, তাদের উৎখাত করা হচ্ছে। আমাদের দেশকে অর্থনীতিতে বড় করে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশ বহুক্ষেত্রে এখন এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়া লোকসংখ্যাও একটা বড় সমস্যা আমাদের দেশে।’