দাঁতনের কাকরাজিৎ জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি নেতা সুমন্ত পড়িয়া কৃষক বন্ধু’র চেক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে তা পা দিয়ে মাড়িয়ে দেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দাঁতনের আইকোলা গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে।
গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের চেক প্রদান করা হচ্ছিল। সেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন। তাঁকে আগে দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। তা মানতে চাননি পঞ্চায়েত কর্মীরা। তাঁরা জানান, নিয়ম মেনে পরপর দেওয়া হবে। এরপর তিনি চেক গ্রহণ করেন। ৫,০০০ টাকার চেক নেন। একটি সুন্দর খামের ওপর লেখা ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের নাম। পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ছবি।
এরপর সেখানেই খাম থেকে চেক বের করে পকেটে ঢুকিয়ে খামের ওপর থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে নীচে ফেলে তা পা দিয়ে মাড়িয়ে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ভাঙার চেষ্টা করেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত অন্য কৃষকেরা প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি তাঁদের মারতে উদ্যত হন।
ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রম প্রধান। তিনি বলেন, ‘উনি একজন শিক্ষক হয়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করেছেন তা মানা যায় না। আগে উনি সিপিএমের কর্মী ছিলেন। এখন বিজেপি–তে গিয়ে মণ্ডল কমিটির সদস্য হয়েছেন। যেমন দলে গিয়েছেন তেমনই আচরণ শিখেছেন। সাধারণ মানুষ এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন।