আইসিসি-র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এ বার কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বিরাট কোহলির দল। শুক্রবার থেকে ওয়েলিংটনে শুরু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। এই সিরিজে ওপেনিংয়ে নেই রোহিত শর্মা। ফলে অনভিজ্ঞতা থাকছে ব্যাটিং অর্ডারে। প্রথম এগারো বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাই বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর ভাবনা বাড়ছে। আগামীকাল সম্ভবত তিন পেসারে খেলতে নামবে ভারত।
কিপার নিয়ে জল্পনা শেষ। তার উপর আত্মবিশ্বাসী ভারত উইকেটে সবুজ আভা দেখেও চার পেসার খেলাচ্ছে না বলে খবর। নেটে পুরনো ছন্দে দেখা গেল ইশান্ত শর্মাকে। ভালে পেসে বল করছেন। সঙ্গে বৈচিত্রও রয়েছে। গোড়ালির চোটের কোনও ইঙ্গিত নেটে অন্তত পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বিরাট বলেছেন, ‘ইশান্ত নিউ জিল্যান্ডে আগে দুটো টেস্ট সিরিজে খেলেছে। এখন ও যথেষ্ট ফিট। নেটে টেনা ছন্দে বোলিং করেছে। সব মিলিয়ে দেখতে বেশ ভালোই লাগল। বলে বেশ ভালো পেস রয়েছে। বলটা জায়গাতেও রাখছে।’ তিন পেসার বলতে ইশান্তের সঙ্গে থাকবেন বুমরা ও সামি। বসতে হবে উমেশ ও নভদীপকে।
ভারতের বোলিং অঙ্কে তিন পেসারের সঙ্গে থাকবেন এক জন স্পিনার। এখানে দোটানায় রয়েছে ভারত। অশ্বিন বা জাদেজার মধ্যে এক জন খেলবেন। যেহেতু কিউয়ি ব্যাটিং লাইন আপে বাঁ হাতির সংখ্যা বেশি, সেই জন্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকে পাল্লা ভারী বলে মনে করা হচ্ছে। উইকেট দেখে ছ’জন বিশেষজ্ঞ ব্যাট খেলাচ্ছে ভারত। প্রথম ছ’জন হলেন মায়াঙ্ক, পৃথ্বী, পূজারা, বিরাট, রাহানে ও হনুমা। সাত নম্বরে ঋদ্ধি। আটে অশ্বিন বা জাডেজা। নয় থেকে এগারোয় থাকছেন তিন পেসার।
ওয়েলিংটনে ওপেনার হিসেবে ভারত এগিয়ে রাখছে মায়াঙ্ক-পৃথ্বী জুটিকে। অর্থাৎ প্রথম টেস্টে বসতে হচ্ছে শুবমানকে। যার অর্থ হ্যামিল্টনের প্রস্তুতি ম্যাচে পৃথ্বীর পক্ষে গিয়েছে তাঁর ৩৯ রানের ইনিংস। যেখানে রান পাননি শুবমান। বিরাটের মনে হচ্ছে, ঋদ্ধির ডাকাবুকো ক্রিকেট টিমের কাজে লাগবে। আবার পৃথ্বী শ নিয়ে বিরাট বলছেন, ‘২০১৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে আমাদের শুরুটা খুব ভালো করতে সাহায্য করেছিল মায়াঙ্ক। তাতে টিমের চাপ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। আমার ধারণা, নিউ জিল্যান্ডে একই কাজ করতে পারে পৃথ্বী।’