শিলচরে আসাম পুলিশের হাতে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের হেনস্থার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে ‘সুপার ইমারজেন্সি’ চলছে বলে দাবি মমতার।
বিজেপির তরফে যুক্তি খাড়া করা হয়, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্রকাশের পরও আসাম শান্ত রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। গেরুয়া বাহিনীর অভিযোগ উড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আসাম যদি শান্তিই থাকে তাহলে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে কেন? আসলে “বিজেপি সরকার এক্সপোজড হয়ে গেছে।”
বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে গত রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শিলচর বিমানবন্দরে বর্বরচিত এই ঘটনার পর তৃণমূল নেত্রী জানতে চান “কোন আইনে শিলচরে ঢুকতে দেওয়া হল না সাংসদদের?” তৃণমূলের আসাম যাওয়ার বিষয়টি পূর্বনির্ধারিত। জানা ছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আগে কিছু না জানিয়ে সেই কর্মসূচীর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্বাভাবিকভাবেই।
আসামের ঘটনার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। মমতাকে রাজনাথ আশ্বাস দিয়েছিলেন নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের উপর কোনও অত্যাচার হবে না। কিন্তু এদিনের ঘটনার পর তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, “প্রমাণ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই আশ্বাসের কোনও মূল্য ছিল না।”
বুধবারই মমতা বলেছিলেন, “ক্ষমতার মোহে বিজেপি বিভ্রান্ত দল।” শিলচরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আসাম পুলিশের শারীরিক হেনস্তার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিকভাবে হতাশগ্রস্ত হয়ে পেশি শক্তির আস্ফালন করছে।” এই আস্ফালনকেই “বিজেপির শেষের শুরু” হিসাবে ব্যাখ্যা করেন মমতা।