পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আসামের নাগরিক পঞ্জির খসড়া নিয়ে জটিলতা খতিয়ে দেখতে আসামে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়তে হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। স্থানীয় প্রশাসন শিলচরে ১৪৪ ধারা জারি করায় তৃণমূলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডাও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের আট প্রতিনিধি। শিলচরে ঢুকতে না দেওয়া হলে তাঁরা বিমানবন্দরেই অবস্থান করবেন বলে দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের।
সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আট জন। তৃণমূলের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপির হাত। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ও দলের মুখপত্র ডেরেক’ও ব্রায়েন বলেন, “দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে। সাংসদ সুখেন্দ শেখর রায়ের বুকে পেসমেকার বসানো আছে। তাঁকে ধাক্কা মেরেছে পুলিশ। বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় আসাম পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের প্রতিনিধিরা দু’জন করে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ”।
আসামে পৌঁছতেই লাঞ্ছনার শিকার বাংলার সাংসদ, বিধায়করা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে এদিন শিলচরে নাগরিক কনভেনশনে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের। জানা গিয়েছে, এনআরসি ইস্যুতে জারি ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রতিনিধিরা যখন প্রবেশ করতে যান তখন শিলচর বিমানবন্দর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
অসম পুলিশের মহিলা কর্মীরা সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষের প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ তাঁকে মারা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর বাবু।
নাগরিক পঞ্জির খসড়া নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কে সংসদ ও তার বাইরে প্রবল চাপে কেন্দ্র। তারই মাঝে আসামে গিয়ে সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা জানায়। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উস্কানির’ কথা বলে আসামের অবস্থা ধামাচাপা দিতে মরিয়া বিজেপির সরবানন্দ সোনোয়ালের সরকার। ফলে বিরোধী দলের প্রতিনিধি সাংসদ, বিধায়কদের হেনস্তা করতেও পিছপা নয় বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ।