আধার তথ্যের সুরক্ষা ইস্যুতে এবার কেন্দ্রকে কটাক্ষ করল জোটসঙ্গী শিবসেনা। দলের মুখপত্র ‘সামনায়’ উল্লেখ, কেন্দ্র যতই দাবি করুক আধার কার্ডের তথ্য সুরক্ষিত, তা ধোপে টিকবে না। তা প্রমাণ হয়েছে ট্রাইয়ের চেয়ারম্যানের ঘটনাতেই।
কেন্দ্রের দাবি আধার নম্বর সুরক্ষিত। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সুযোগ সুবিধার জন্য আধার নম্বর লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় এই দাবির বিরোধীতীয় প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। সম্প্রতী টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আর এস শর্মা মোদী সরকারের দাবির সঙ্গে সহমত হয়ে বলেন, ‘আধার তথ্য সুরক্ষিত’। তাঁর দাবিকে প্রমাণ করতে চ্যালেঞ্জের সুরেই টুইটারে নিজের আধার নম্বর প্রকাশ করে দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জ অবশ্য বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর প্যান এবং মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে দেন ফরাসি ওয়েবসুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইলিয়ট অল্ডারসন। প্রকাশ্যে চলে আসে কেন্দ্রের দাবির অসাড়তা।
এরপরেই নড়েচড়ে বসে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানায়, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ নিজেদের আধার নম্বর প্রকাশ করবেন না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, প্যান নম্বরের মতো আধার নম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আর্থিক লেনদেন এবং পরিচয় জানাতে এর ব্যবহার হতে পারে। এর অপব্যবহার ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং আধার আইনের আওতায় ফৌজদারি অপরাধের সমতুল।
ইউআইডিএআই-এর এই বিজ্ঞপ্তিকেই হাতিয়ার করেছে শিবসেনা। যদি আধার নম্বর সুরক্ষিতই হত তাহলে ট্রাই কর্তার চ্যালেঞ্জের ঘটনার পরই কেন ইউআইডিএআই-এর এই বিজ্ঞপ্তি প্রশ্ন তাদের। কি করে হ্যাকাররা আর এস শর্মার প্যান, ভোটার কার্ড নম্বর বার করে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এনড্এর এই শরিক।
গোরক্ষা থেকে হিন্দুত্ব। বিভিন্ন বিষয়ে মোদী সরকার ও বিজেপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এসময়কালে সরব হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সেই তালিকায় সংযোজন আধার তথ্যের সুরক্ষা বিষয়টি। ফলে শরিকী বিরোধীতায় গেরুয়া শিবিরের চিন্তা আরও বাড়ল।