জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকে জেলবন্দী ছিলেন আইএএস টপার শাহ ফয়জল। এবার জন নিরাপত্তা আইনের অধীনে তাঁকে আটক করল প্রশাসন। এই আইন অনুযায়ী বিনা বিচারে যে কাউকে টানা তিনমাস আটকে রাখা যায়। এমনকী প্রয়োজন মাফিক এই মেয়াদ বাড়ানোও যায়।
এর আগে ভূস্বর্গের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকেও জন নিরাপত্তা আইনের অধীনে আটকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আলি মহম্মদ সাগর, নঈম আখতার, সরতাজ মাদানি ও হিলালি লোনের মত রাজনৈতিক নেতাদেরও আটকে রাখা হয়েছে। এবার এই তালিকার নবতম সংসযোজন শাহ ফয়জল।
২০০৯ সালে আইএএস পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছিলেন শাহ। যা জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রথম। প্রসঙ্গত, গত বছরই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এই আমলা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন ফয়জল। এরপরই বিদেশে যাওয়ার আগে দিল্লী বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাকে শ্রীনগরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকে তাঁকে আটক করে রাখা রয়েছে।
১২ আগস্ট শাহ ফয়জলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে ইনটালিজেন্স ব্যুরো। শাহ আমেরিকার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বপড়াশোনা করেছেন। সেই সময় নাকি স্টুডেন্ট ভিসার বদলে পর্যটক ভিসায় আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। প্রসঙ্গত, শাহ কাশ্মীরে নির্বিচারে মুসলিম হত্যার নিন্দা করে আমলার চাকরি ছেড়ে দেন। তারপর থেকে কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে জন নিরাপত্তা আইনের অধীনে আটক করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।