দিল্লির শাহিনবাগের মতো কলকাতার পার্ক সার্কাসেও বিগত প্রায় ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাত জাগছেন মহিলা-শিশুরা। কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাঁরা প্রত্যেক রাতের প্রহরী। দিল্লীর শাহিনবাগের মতোই পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেও ধেয়ে এসেছে একাধিক আক্রমণ। সীমান্ত পেরনো বাংলাদেশি বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। কিন্তু পার্ক সার্কাস যেন ভালোবাসার দিনে বুঝিয়ে দিল দেশের শোক তাঁদেরও শোক। দেশের শহিদদের জন্য তাঁদের প্রাণও কাঁদে একইরকম। কারণ তাঁদের প্রথম পরিচয়ই হল, তাঁরা ভারতবাসী।
পুলওয়ামা হামলার এক বছরের মাথায় এদিন পার্ক সার্কাসের প্রতিবাদীরা আয়োজন করেছেন শহিদ শ্রদ্ধার্ঘ্যের। মাঠের একটা জোন করা হয়েছে, যেখানে শহিদদের ছবিতে মাল্যদান করা হবে। জানানো হবে শ্রদ্ধার্ঘ্য। বিকেলেই প্রতিবাদীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর। এসেছেন জেনএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও।
অন্যদিন স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে পার্ক সার্কাস। আজ সেখানে অনেকটাই স্তব্ধতা। আসলে ঠিক এক বছর আগে পুলওয়ামায় যেভাবে প্রাণ খুইয়েছিলেন দেশের সন্তানরা, তার জন্য মন কাঁদছে পার্ক সার্কাসেরও। প্রতিবাদীদের পাশে এসে দাঁড়াতে দিল্লীর শাহিনবাগ থেকে ছুটে আসছেন শিক্ষক সঞ্জিত রাই।