অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা। জঙ্গীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ভারতে থেকে পাক সেনাপ্রধানের ভূমিকা পালন করছেন উনি। আর দিল্লীর টুকরে টুকরে গ্যাংকে সমর্থন করছেন। ভোটে ভরাডুবির পরেও তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরা যখন এমন কথা বলে বেরাচ্ছেন, তখন কেজরিওয়াল তাঁকে নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের সময় তাঁরা ছিলেন সম্মুখসমরে। একে অন্যকে মাঠে-ময়দানে বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ মানুষের রায়ে শেষ হাসি হাসেন কেজরিই। বিজেপিকে গোহারা হারিয়ে ধরে রেখেছেন দিল্লীর গদি। অন্যদিকে, কেজরি জেতার পর তাঁকে ফোন করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন মোদী। এবার তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময় যাতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে হাজির থাকেন সে জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ করলেন কেজরিওয়াল। যা মোদীর কাছে বেশ অস্বস্তিকরই।
কারণ, দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬২টি পেয়েছে আম আদমি পার্টি। আর সেখানে ৮টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। তারপর দিল্লী জুড়ে যে উৎসব শুরু হয়েছে তা বেজায় চাপ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তারপর এই আমন্ত্রণপত্র বাড়তি অস্বস্তি তৈরি করল বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, রামলীলা ময়দানে কেজরির শপথ অনুষ্ঠানে কী প্রধানমন্ত্রী আসছেন? রবিবারই মিলবে এর উত্তর।