“৩৬৫ দিনই বাংলায় গেলেও কিছু করতে পারবেন না উনি।” বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
নোটবন্দী, জিএসটি। হালে আসামের এনআরসি খসড়ার প্রতিবাদ। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী মুখ মানেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কের তালিকায় ছিল ১১ই অগাষ্ট কলকাতার রানি রাসমণিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভাও। পুলিশ প্রথমে সেই সভার অনুমতি দেয়নি। পরে মেয়ো রোডে পুলিশের তরফে দেওয়া হয় সভার অনুমতি।
বিতর্কের মাঝেই টুইটারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অমিত শাহের হুঁশিয়ারি ছিল, “অনুমতি থাকুক বা না-থাকুক সভা আমি করবই। ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করে দেখান।”
সেই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতেই তৃণমূল নেত্রী দিল্লিতে বলেন, “উনি ৩৬৫ দিনই বাংলায় যান। এটা তো ভাল। কিন্তু বাংলায় কিছু করতে পারবেন না উনি।”
১৯শের লোকসভায় ৪২ এর মধ্যে ২২ বিজেপির টার্গেট। সংগঠনের যা পরিস্থিতি তাতে টার্গেট বাস্তবায়িত করা অসম্ভব মানছেন গেরুয়া বাহিনীর অতি বড় নেতা, কর্মীও। ফলে একদিকে সভাস্থল নিয়েই এখন সুর চড়াচ্ছেন মোদীর সেনাপতি। অন্যদিকে আসামের এনআরসি বিতর্ককে লঘু করতেও এই চাল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে অমিতের হুঙ্কারে ডরাচ্ছেন না জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের কারিগর। উল্টে তাঁর ওপেন চ্যালেঞ্জ বিজেপি সভাপতি কোন অস্ত্রে সামলান সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।