এবার ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে আসামে বন্ধ করা হচ্ছে প্রায় হাজারের ওপর সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা। বন্ধ করা হচ্ছে বেসরকারি মাদ্রাসাগুলির জন্য আর্থিক বরাদ্দও।
প্রসঙ্গত, সরকার পরিচালিত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিজেপি শাসিত এই রাজ্য। তবে এর পাশাপাশি বেসরকারি মাদ্রাসাগুলিকেও আর্থিকভাবে কোনও সাহায্য করা হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। বন্ধ হওয়ার এই তালিকায় রয়েছে সরকারি সংস্কৃত টোলগুলিও। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথায়, ‘রাজ্য সরকার ধর্মনিরপেক্ষ। তাই সরকার কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না। ফলে রাজ্য সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা, সংস্কৃত টোল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে অসমে ক্ষমতায় আসের পরই সংস্কৃত টোল বোর্ড ও মাদ্রাসাগুলিকে আসামের সেকেন্ডারি বোর্ডের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ আসামে যে বারোশো মাদ্রাসা ও ২০০টি সংস্কৃত টোল রয়েছে, সেগুলিকে পরিচালনা করার জন্য আলাদা কোনও স্বায়ত্বশাসিত বোর্ড নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়ারা ম্যাট্রিকুলেশন এবং হায়ার সেকেন্ডারির সমকক্ষ শংসাপত্র পায়। যা নিয়ে পরে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই রাজ্য সরকার টোলা-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তে ফের একবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বিতর্ক থামাতে খোদ ময়দানে নেমেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, রাজ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চলা মাদ্রাসা বন্ধ করা হবে না। বন্ধ হবে না টোলও। কিন্তু সরকার কানাকড়ি দিয়েও তাদের সাহায্য করা হবে না।