প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে আমেরিকার প্রভাবশালী রাজনীতিকদের একাংশ ভারতের অভ্যন্তরীণ নানা ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। আমেরিকার চার সেনেটর চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে দীর্ঘকাল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে তার পরিণাম ভাল হবে বলে তাঁরা মনে করেন না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দুই ডেমোক্র্যাট ও দুই রিপাবলিকান সেনেটর এসম্পর্কে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিওকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপ করে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করে রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়। তাতে বিনা বিচারে তিন মাস পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানো যায় অনির্দিষ্টকাল।
–
মার্কিন সেনেটররা চিঠিতে লিখেছেন, ‘কোনও গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের মতো এত দীর্ঘকাল ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখেনি। ৭০ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা, ব্যবসা ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ পরে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘কয়েকশ কাশ্মীরি নিবর্তনমূলক আইনে বন্দী হয়ে আছেন। সেদেশের সরকার যা করছে, তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর।’
যে চারজন সেনেটর ভারতের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের অন্যতম লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সেনেটররা বলেছেন, ‘ভারত সরকার এমন একটি গোলমেলে পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে। রাষ্ট্রের সেকুলার চরিত্রেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
সেনেটররা আবেদন জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসন ভারতে নিবর্তনমূলক আইনে আটকে রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।