এক ভ্রান্ত ধারণার কারণে নিজেকে শেষ করে দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের এক বৃদ্ধ। শেষামনাইডু কান্দ্রিগা গ্রামের বাসিন্দা কে বালকৃষ্ণ কিছুদিন ধরে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে ভুগছিলেন। কিন্তু মোবাইলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবরের ভিডিয়ো দেখে তিনি ভাবেন তাঁরও বুঝি এই রোগ হয়েছে। এবং এই ভাইরাস থেকে নিজের পরিবারকে বাঁচাতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
সর্দি-কাশি ও জ্বরের জন্য তাঁর চিকিত্সা চললেও ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত ছিলেন ওই প্রৌঢ়। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে ডাক্তারের কথায় আমল দেননি বালকৃষ্ণ। নিজেকে করোনায় আক্রান্ত ভেবে তিনি পরিবারকে বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করে বসেন।
মঙ্গলবার স্ত্রী-সন্তানকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখে মায়ের কবরস্থানে চলে যান তিনি। তাঁর স্ত্রীর ডাকাডাকিতে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দেওয়ার পর সবাই সেখানে ছুটে যান সেই কবরস্থানে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। সবাই গিয়ে দেখেন, মায়ের কবরস্থানের পাশে একটি গাছের ডালে ঝুলছেন বালকৃষ্ণ।
বালকৃষ্ণর ছেলে বালা মুরলী জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা সারাদিন মোবাইলে করোনাভাইরাসের ভিডিয়ো দেখতেন। বলতেন, তাঁরও একই রকমের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আমরা যখন বলতাম, তাঁর এমন কিছুই হয়নি, তখন ভীষণ রেগে যেতেন।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিরুমালার একটি হাসপাতালেও যান তিনি। ডাক্তাররা জানান, তাঁর ভাইরাল ইনফেকশন হয়েছে। সেই ভাইরাস যাতে না-ছড়ায়, সে জন্য একটি মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন ডাক্তাররা। এতেই সন্দেহ হয় বালকৃষ্ণের। বাড়ি ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদের দূরে থাকার নির্দেশ দেন। বলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।