জাতীয়স্তরে বিজেপি–বিরোধী জোট গড়ার কাজে রাজধানীতে সক্রিয় তৃণমূল সুপ্রিমো। কার্যত বিরোধী জোটের কাণ্ডারী তিনি। ১৯শের লোকসভার আগে মোদী বিরোধী শিবিরকে জোটবদ্ধ করতে মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তার আগে আলোচনা করেছেন দলিত নেতাদের সঙ্গে। কথা হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানি, যশোবন্ত সিংহের সঙ্গেও।
সাউথ অ্যাভিনিউয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করে যান এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার ও তাঁর কন্যা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয় তাঁদের।
বিজেপি–কে উৎখাত করাই যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য আলোচনায় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে ২০১৯–এ দেশে পরিবর্তন আসবে।’
জোট গঠনের প্রেক্ষিতে বুধবারও তাঁর একাধিক কর্মসূচি। বৈঠক করবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন রাহুল গান্ধীও। সাধারণত দিল্লি গেলে সংসদের সেন্ট্রাল হলে যান তৃণমূল নেত্রী। কথা হতে পারে একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতা নেত্রীদের সঙ্গে। তাঁদের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের জন্যও আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। মূলত আগামী লোকসভায় এই আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়েই পক্ত জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
জোটের পথ মসৃণ করতে প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ নিয়ে আপাতত আলোচনায় রাজি নয় বিরোধী শিবির। যদিও দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মমতা ও মায়াবতীকে মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। এই ইস্যুতে বিরোধীদের মধ্যে ফাটল ধরাতে সচেষ্ট বিজেপি শিবির। কিন্তু সজাগ রয়েছেন মমতা।
‘সাহসের সঙ্গে যে লড়বে সেই জিতবে’। বিভিন্ন আলোচনা, সভায় আলোচনায় জোর গলায় বলছেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি বিরোধীতায় এই ঝাঁজই এখন বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বের মধ্যেও সঞ্চারিত করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।