দিল্লী দখল অধরাই থেকে যাবে বিজেপির, এমনটা প্রায় নিশ্চিত তা ধরেই নিয়েছে গেরুয়া শিবির। শেষ মুহূর্তেও যা তথ্য তাতে রাজধানীতে কেজরিওয়ালই ফিরে আসছেন। এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লী ‘শাসন’ করতে চলেছে আপ। ফল কী হবে তা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, তাই এখনও পর্যন্ত কারও তরফে কিছু মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু মন্তব্য করলেন একজন, তিনি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি যা বললেন, তাতে অস্বস্তিই বাড়ল দলের।
মঙ্গলবার দিল্লীতে বিজেপির হার নিশ্চিত হওয়ার পরেই স্বামী বলেন, ‘বিজেপির সময় এসে গিয়েছে ২০১৪ সালে ফিরে যাওয়ার। এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ করতে পারিনি। আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হল গোর্খাল্যাণ্ড। এটাকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে হবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী।’ এই প্রসঙ্গে কথা বলে তিনি যে ফের বাংলার পাহাড়ের মানুষদের স্পর্শকাতর বিষয়কে হাতিয়ার করতে চাইলেন তা বলাই বাহুল্য। দিল্লী নির্বাচনে কার্যত হার পাকা বিজেপির। পরের বছরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নিরিখেই স্বামী পাহাড়ের ‘গোড়াতে’ আঘাত হানতে চেয়ে এই মন্তব্য করলেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
২০২১ সালে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। এমতাবস্থায় স্বামীর কথা মেনে প্রতিশ্রুতি পূরণ করলে বাংলায় তার বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের অভিমত, বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোর্খাল্যান্ডের ব্যাপারে এক পা এগোলেই ভোটের আগে মমতার হাতে হাতিয়ার তুলে দেবে তারা। বাঙালিয়ানায় শান দিয়ে সেই হাতিয়ার ব্যবহার করতে মমতা যে মওকা ছাড়বেন না, তা বাচ্চা ছেলেও জানে। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর পরামর্শ শোনার অর্থ নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা। তবে ঘটনা হল, ঐতিহাসিকভাবে ছোট রাজ্যের পক্ষে বিজেপি। বাজপেয়ীর জমানাতেই জন্ম হয়েছিল ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের।