আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির যে দ্বিতীয় চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি করা যাবে না। কারণ এটি একটি খসড়া মাত্র। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের।
কেন্দ্রকে দেশের শীর্ষ আদলতের নির্দেশ, যে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাদের ফের আবেদনের জন্য ও সমস্যা সমাধানের জন্য মসৃন কর্মপদ্ধতি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) স্থির করতে হবে। সেই প্রসিডিওর অনুমোদনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে। কেন্দ্রের তৈরি করা প্রসিডিওর স্বচ্ছ ও যুক্তিসঙ্গত হলে তাতে অনুমোদন দেবে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং আর এফ নরিম্যানকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলেছে, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে ওই কর্মপদ্ধতি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর। আবেদন ও আপত্তি জানানোর জন্য নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় চূড়ান্ত খসড়া থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের প্রত্যেককে নোটিস দিতে হবে একজন স্থানীয় রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে। শুনানির মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে হবে প্রত্যেককে।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সমন্বয়কারী সুপ্রিম কোর্ট। সেই জন্য সোমবার প্রকাশিত আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত খসড়ার বিস্তারিত তথ্য স্টেটাস রিপোর্টের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর শীর্ষ আদালত জানতে চায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে?
কেন্দ্রের তরফে কোর্টে জানানো হয়, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির এই খসড়ায় নাম রয়েছে কি না, তা আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত দেখা যাবে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম যুক্ত করা বা বাদ দেওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি ও আপত্তি পেশ করা যাবে ৩০ আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তারিতে তৎপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
এরপরই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় চূড়ান্ত খসড়ায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের উপর কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।