৭ বছর আগের এক অশ্রুসিক্ত দিন। গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন তেন্ডুলকার। তিনি খেলবেন না ক্রিকেটে আর রইল কী! তিনি খেলবেন না মানে তো ক্রিকেট নিঃস্ব! এই সাত বছর অনেকটা সময়, তাই না! এই সাত বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক তারকার জন্ম হয়েছে। কিন্তু শচীনের শূন্যস্থান ঢাকেনি। আজও বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে তিনি নামলেই সমর্থকরা নস্ট্যালজিক হয়ে ওঠেন। মনে মনে প্রার্থনা জাগে, ‘আপনি আরেকবার ফিরে আসুন। ক্রিকেট খেলুন।’ সাত বছর পর সেই শচীন আবার ব্যাট হাতে নামলেন।
রবিবারের সকালে ক্রিকেট সমর্থকদের এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা হল। ২০১৯ সালের উইমেন্স ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার এলিস পেরির ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন শচীন। পেরি লিখেছিলেন, ‘আমি জানি আপনি দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য খোলা মনে এগিয়ে এসেছেন। আপনি একটি দলের কোচিং করাচ্ছেন। তবে আপনি যদি অবসর ভেঙে মাত্র একটি ওভার ব্যাটিং করার জন্য মাঠে নামেন তা হলে আরও বেশি অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হতে পারে।’ পেরির আবেদনে সাড়া দিয়ে মাঠে নামলেন ক্রিকেটের ভগবান। খেললেন একটি ওভার। আর তাতেই যেন ঝড় উঠল। অস্ট্রেলিয়ার দাবানালে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য আয়োজিত এই ম্যাচ। প্রদর্শনী ম্যাচ। তবুও এই ম্যাচ অনেকদিন মনে থাকবে সচিন ভক্তদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে অবসর নিয়েছিলেন শচীন তেন্ডুলকার। এর পর ২০১৪ সালে এমসিসি-র একটি প্রদর্শনী ম্যাচে খেলেছিলেন শচীন। তার পর আর তাঁকে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা যায়নি। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আয়োজিত এই প্রদর্শনী ম্যাচে রিকি পন্টিংয়ের দলের কোচ হয়েছিলেন শচীন। কিন্তু পেরির ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি নেমে পড়লেন ব্যাট হাতে। মাঠে নেমে প্রথম বলেই মারলেন দারুন একটা বাউন্ডারি।