গতকাল সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গেল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। বিজেপির স্টলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এপিডিআর কর্মীরা। এরপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা মেলায় পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। আর এই বইমেলাতেই গতকাল উপস্থিত হয়েছে কেন্দ্রকে রীতিমত বিঁধলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
দিল্লী ভোটের ফল কী হবে? এনআরসি, সিএএ-র প্রভাব কি রাজধানীর বিধানসভা ভোটে পড়বে? এই প্রশ্নগুলোই আছড়ে পড়েছিল তাঁর সামনে। প্রশ্নগুলোর জবাবে তিনি বললেন, ‘দিল্লীতে ভোট অনেক কম পড়েছে এবার। একটা ভয়ের বাতাবরণ ছেয়ে আছে। হয়তো জামিয়া এবং শাহিনবাগে গুলি চালানোর জন্য। মানুষ হিংসার ভয় পাচ্ছে। দেশের জন্য এটা দুঃখজনক। দেশের রাজনীতির জন্য এটা অনভিপ্রেত। ভোটের ফলাফল বেরোক, তার পরে দেখা যাবে।’
গতকাল কলকাতা বইমেলার একটি আলোচনাসভার পরে এই কথাগুলোই বললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সরকার এই দেশে নাগরিকত্ব আইন চালু করার কথা বলে একটা ভয় খুব সুচারু ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে, যে প্রয়োজনীয় নথি না থাকলে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তাঁর কথায়, ‘কিন্তু আমি বলতে পারি, কেউ কাউকে দেশ থেকে বার করতে পারবে না। তাহলে সারা বিশ্ব তার নিন্দা করবে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হতে পারে, প্রয়োজনীয় নথি না দেখালে। এভাবেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলে আসলে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে বহু মানুষেরই প্রয়োজনীয় নথি নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বেশি মানবিক হওয়া উচিত ছিল।’ সাম্প্রতিক কালে, মোদী সরকারের সমালোচক হিসেবে ধারাবাহিক ভাবে নিজের পরিচয় দিয়ে এসেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কিন্তু তিনি শুধু সংসদে নন, সংসদের বাইরেও নানা ক্ষেত্রে তাঁর সরকার বিরোধিতার পরিচয় দিয়েছেন। গতকাল কলকাতা বইমেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেও তার অন্যথা দেখা গেল না থারুরের ক্ষেত্রে।