নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়া হওয়ার গল্প ‘শিকারা’। অসহায়তা, প্রেম এই উপর জোর দিয়ে দর্শকের মনের বৃত্তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা বহু পরিচালক, বহু করেছেন। বিধু বিনোদ চোপড়া এই ছকে আগেও খেলেছেন। ‘নাইন্টিন ফর্টিটু আ লাভ স্টোরি’ তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ।
শিবকুমার ধর আর শান্তির ঘর ভাঙে এই উত্তাল সময়েই। সব ছেড়ে ঠাঁই নিতে হয় রিফিউজি ক্যাম্পে। সেই প্রেক্ষিতেই গল্প এগোয়।
ধ্বংসস্তূপে প্রেমের বীজ বোনা হলেও আবেগের খামতি গোটা ছবি জুড়ে দেখা যায়। কিন্তু কাশ্মীরের মতো ক্যানভাস পেয়েও কেন এই কৃপনতা। দর্শক মহলে উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু কিছু জিনিষ বা কিছু ফ্রেম ভালো। যেমন রিফিউজি ক্যাম্পে এক বৃদ্ধের ঘরে ফেরার ঘ্যানঘ্যান, কোথাও যেন মান্টোর টোবা টেক সিংকে মনে করায়। সেই ক্যাম্পে বসেই শিবের আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে চিঠি লেখার সময়ে শান্তির ভালবাসার প্রলেপের দৃশ্যটিও মাধুর্যময়। শিব আর শান্তির চরিত্রে নতুন মুখ আদিল খান ও সাদিয়া মন্দ নন। তবে আদিলের তুলনায় সাদিয়া সপ্রতিভ।