বিজেপির অভিনন্দন যাত্রার অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও আজ দুপুরে টালিগঞ্জে মিছিলের সূচনা করেছিলেন এরাজ্যের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়ও। আর মিছিল শুরু হতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল টালিগঞ্জ এলাকা। গ্রেপ্তার করা হল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়কে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ধস্তাধস্তির জেরে গ্রেপ্তার হলেন বেশ কয়েকজন। তার প্রতিবাদে আবার টালাগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে নিউ আলিপুরগামী রাস্তা অবরোধে নামলেন বিজেপি কর্মীরা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও মিছিল করছে রাজ্য বিজেপি। সেই মিছিলে গন্ডগোলের খবরও মিলছে। তবে সম্প্রতি পাটুলি থেকে বাঘাযতীনে বড়সড় অশান্তিই হয়েছে। এবার টালিগঞ্জ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল ঘিরেও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। শুক্রবার দুপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে মিছিল শুরু হতেই, তা আটকে দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই বাঁধে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পুলিশকে মিছিল নিয়ে বোঝাতে যান মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়র্গীয়রা। একদিকে, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা, আরেকদিকে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের হাতাহাতি চলতে থাকে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
অশান্তির জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে টালিগঞ্জ ফাঁড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আটকে পড়ে যান চলাচল। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করলে, পুলিশ কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে গ্রেপ্তার করে। মুকুল রায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া অভিনন্দন যাত্রায় শামিল বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ বেশ কয়েকজনকেও পুলিশ ভ্যানে তুলে্ নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারির পর ক্ষোভ উগরে দেন কৈলাস। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘সিএএ-এর বিরুদ্ধে মিছিল করতে দেওয়া হয়, সমর্থনে বাধা দেওয়া হয়। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।’ পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গী।