গত সপ্তাহে সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আর আজ গোয়াতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত প্রথম বাজেট পেশ করলেন। আর প্রথম বাজেটেই রাজ্যের কর আদায়ের দিকে বেশি নজর দিলেন তিনি। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, এই নতুন কর কাঠামোর ফলে বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হবে।
বৃহস্পতিবার থেকেই পুরনো কর কাঠামো শেষ হয়েছে। নতুন কর কাঠামোতে এক্সাইজ ডিউটি, স্ট্যাম্প ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। বাজেট পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে শেষবার কর কাঠামোতে বদল এসেছিল। তাই এই বদল জরুরি ছিল। এর ফলে রাজ্যের অর্থনীতিরই লাভ হবে। নিজের ভাষণে সাওয়ান্ত বলেন, ‘গোয়াতে কর কাঠামোতে পরিবর্তন করে বেশি রাজস্ব আদায় করার সুযোগ খুবই কম। কিন্তু এই বাজেটে অর্থনৈতিক ফাঁক-ফোকর বন্ধ করে বেশি কর আদায় করার জন্য কয়েকটি মাত্র সুযোগ রয়েছে।’
জানা গিয়েছে, বিয়ার, ভারতে তৈরি বিদেশি মদ অর্থাৎ রাম, হুইস্কির উপর এক্সাইজ ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ মদের দাম বেড়েছে। শুধু এইসব মদই নয়, গোয়ার বিখ্যাত ফেনির দামও ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। বিয়ারের দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে মদের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অনুযায়ী দাম বেড়েছে। এই অতিরিক্ত এক্সাইজ ডিউটি আদায়ের ফলে রাজ্যের কর কাঠামো লাভবান হবে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধুমাত্র মদের দাম বাড়ানো নয়, জমিসংক্রান্ত ক্ষেত্রেও স্ট্যাম্প ডিউটির দাম বাড়ানো হয়েছে। এই স্ট্যাম্প ডিউটি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, ‘আমরা খুব সামান্য হারেই রাজ্যের কর বাড়িয়েছি। এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমরা এক্সাইজ বা স্ট্যাম্প ডিউটি কিছুটা বাড়িয়েছি। এর ফলে রাজ্যের রাজস্ব আদায় অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলতঃ রাজ্যেরই লাভ হবে।’