বৃহস্পতিবার বাজেট নিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণে সংসদে একের পর এক ছক্কা হাঁকাতে দেখা গিয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সাম্প্রতিক সিএএ, ৩৭০ প্রত্যাহারের মতো সরকারের একাধিক পদক্ষেপের গুণগান ও বিরোধীদের একহাত নিয়ে কার্যত জ্বলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেখানেই এক বড়সড় ভুল করে বসলেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। এক ভুয়ো খবরকে তুলে ধরে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি। পরে জানা গেল যে তথ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পেশ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে দেশজুড়ে যে চরম ডামাডোল শুরু হয়েছিল সে প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে গতকাল সংসদে ওমর আবদুল্লার এক বক্তব্য তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নিয়ে এমন ভূমিকম্প শুরু হবে যে কাশ্মীর ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবে। সংবিধানের রক্ষা করা কোনও ব্যক্তি কি কখনও এমন ধরনের বক্তব্য পেশ করতে পারেন।’ মোদীর এহেন বক্তব্যের পর খোঁজ শুরু হয় কবে কোথায় আবদুল্লা এহেন বক্তব্য পেশ করেছেন। উপত্যকার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনবফারেন্সের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের দলনেতা কখনও এমন বক্তব্য পেশ করেননি।
পরে অবশ্য জানা যায় জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সময়ে এক মজার ওয়েবসাইট ‘ফেকিং নিউজে’ মজার ছলেই পেশ করা হয়েছিল এমন বক্তব্য। সেটাকেই হাতিয়ার করে সংসদে সরব হয়ে ওঠেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসে থাকা কোনও ব্যক্তি এই ধরনের ভুয়ো খবরকে হাতিয়ার করে সংসদে সরব হওয়ায় চড়ে উঠেছে বিতর্ক। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেসও। এদিন কংগ্রেসের তরফে এক টুইটে জানানো হয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি মজার ওয়েবসাইটের মিথ্যা বক্তব্যকে হাতিয়ার করছেন সংসদে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে আক্রমণ করতে। এটা তখনই হয় যখন আপনার কাছে শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি থাকে।