স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ডাক দিয়েছেন মোদী। কিন্তু প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মতো তাঁর দলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি অপহরণের অভিযোগ। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্ম-এর তালিকায় প্রকাশ পেয়েছে সেই তথ্য। তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি মতো দলেরও।
দেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার ২৪ জন বিধায়ক ও সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই নাম পুলিশের খাতায়। বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তও তাঁরা। এতো ভারতবাসীর কাছে মামুলি ব্যাপার। উল্লেখযোগ্য এর মধ্যে রয়েছে অপহরণের অভিযোগও। ৬৪ জন বিধায়ক ও সাংসদ এর সঙ্গে যুক্ত বলে খবরে প্রকাশ। এই ৬৪ জনের মধ্যে বেশিরভারই কেন্দ্রীয় শাসক দলের জনপ্রতিনিধি।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্ম-এর রিপোর্ট অনুযাই, অপহরণের অভিযোগ থাকা ৬৪ জন বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে ১৬ জনই বিজেপির। এরপরই রয়েছে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল। কংগ্রেস ও আরজেডির ছ’জন করে সাংসদ ও বিধায়ক এই অপরাধে জড়িত। তবে শুধু এই তিনটি রাজনৈতিক দলই নয়। আরও অনেক দলের বিধায়ক ও সাংসদরাও এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে বিজু জনতা দল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, তেলুগু দেশম পার্টি, সিপিএম, সিপিআই-এমএল, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি, জনতা দল (ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির মতো দলও। এছাড়া পার্লামেন্টের আরও চার জন রয়েছে এই তালিকায়।
যে সব সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের। এই দু’টি রাজ্য থেকে ন’জন করে মোট ১৮ জনের নাম রয়েছে তালিকায়। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্য থেকে আট জনের নাম অপরাধীদের তালিকায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছে ছ’জনের নাম। ওড়িশা ও তামিলনাড়ুর চার জন করে মোট আট জন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত ও রাজস্থান থেকে তিন জন করে মোট ন’জন বিধায়ক ও সাংসদ অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত। এছাড়া ছত্তিশগড়, হিমাচলপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরল, পাঞ্জাব ও তেলেঙ্গানার সাংসদ ও বিধায়কদের নামও রয়েছে তালিকায়।
পার্লামেন্টের সদস্য রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। ছ’টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিহারের সাংসদ এলজেপির রাম কিশোর সিংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মামলা।
রাজ্যসভার সদস্যদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ধুত রাজকুমার নন্দলাল (এসএইচএস) ও নারায়ণ তানু রাণে (বিজেপি) রয়েছেন। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি থেকে চন্দ্রপল সিং যাদবের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ।