রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিএএ-র সমর্থনে চলছে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। এমনকি মিসড কল করে সমর্থন জানানোর আবেদনও করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। যেখানে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। আবার বিরোধী ও নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, যৌনতার হাতছানি দিয়ে টোল-ফ্রি নম্বরে মিসড কল দিতে বলা হচ্ছে। তাতে, সিএএ সমর্থনে এই নাম্বার বলে উল্লেখ নেই। আসলে বিজেপি আইটি সেল মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে সত্যি আড়াল করে মিথ্যে জনমত আদায় করছে বলে অভিযোগ।
বিরোধীদের এই অভিযোগ মিথ্যে নয়। কিছুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল তেমন কিছু সোশ্যাল সাইট স্ক্রিনশট। বিজেপি তা আস্বীকার করে বলেছিল, বিরোধী শিবিরের রটনা। তবে, এবার সামনে এল নয়া তথ্য। দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিসড কল এলেও, কলকাতা থেকে তেমন সাড়া আসেনি। যা পুরসভা ভোটের আগে রীতিমত উদ্বেগজনক বিজেপির কাছে।
সম্প্রতি, মুকুল-দিলীপ-রাহুল-শিবপ্রকাশ এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছেন। যা রীতিমত আশঙ্কার পদ্ম শিবিরের কাছে। নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে, সিএএ-র সমর্থনে কলকাতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিসড কলের বিষয়টি কর্মীরা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেনি। অন্য অংশের মতে, জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মী সংখ্যা বেশি হলেও, কলকাতায় তা অনেকটাই কম। তাই ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং, পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার বা সভা হলেও ‘মিসড কলে সমর্থনে’ তেমন কেউ প্রচার করেনি। পুরসভায় কটা আসন পাবে গেরুয়া শিবির তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে বিজেপির আবার ভয়, কলকাতায় বেশিরভাগ মানুষই কি তবে সিএএ সমর্থন করছে না! তাই এখনই প্রচার ও সংগঠন বিস্তারে জোরকদমে উঠে পড়ে লাগতে চাইছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এখনই সাংগঠনিক রদবদল করে ফেলতে চায় বিজেপি। এমনকি চারটি সাংগঠনিক জেলা কমিয়ে দুটি করার কথা হচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছে। তবে পুরসভায় জেতা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, কলকাতায় কর্মী তুলনামূলক কম বলেই এই অবস্থা। তবে প্রচারে জোর দিয়ে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।