অনুশীলন চলতে চলতে দেখা গেল, হঠাৎই মাটিতে শুয়ে পড়লেন মোহনবাগানের নতুন প্রাণভোমরা স্প্যানিশ মিডিও হোসেবা বেইতিয়া। সাথে সাথে মাঠের মাঝখানে ছুটে গেলেন মোহনবাগানের ডাক্তার, ফিজিওরা। মিনিট দশেক শুশ্রূষার পর খোঁড়াতে খোঁড়াতে ড্রেসিংরুমে গেলেন তিনি। যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে মঙ্গলবারের বিকেলে আর ফিরলেন না বেইতিয়া। পরে জানা গেল, পেশিতে টান লাগছিল খেলতে গিয়ে। তাই দলের মাঝমাঠের ইঞ্জিনকে বিশ্রাম দিয়েছেন কিবু ভিকুনা।
রবিবারই লিগ টেবিলের দু’নম্বরে থাকা পাঞ্জাব এফ সি-র সঙ্গে ম্যাচ মোহনবাগানের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সবুজ-মেরুনের গতবারের সেরা স্ট্রাইকার দিপান্দা ডিকাকে থামানোর জন্য কিবু প্রস্তুত করছেন ফ্রান গঞ্জালেসদের। ক্লাবের প্রাক্তনীকে রোখার দায়িত্ব যাঁর উপর ছাড়তে পারতেন কিবু, সেই ড্যানিয়েল সাইরাস চোটের জন্য বাইরে চলে গিয়েছেন। মঙ্গলবারও ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর বিশাল চেহারার ফুটবলার বসে ছিলেন মাঠের পাশে পায়ে বরফ বেঁধে। বেইতিয়াকে নিয়ে সংশয় অবশ্য কাটিয়ে দিলেন তিনি নিজেই। বলে দিলেন, ‘একটু ব্যথা লাগছিল। তাই বিশ্রাম নিয়েছিলাম। রবিবার খেলতে কোনও সমস্যা নেই আমার।’
এদিকে অনুশীলন শেষ করে ফেরার পথে কিবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাঞ্জাবকে হারাতে পারলেই তো খেতাব অনেকটা হাতের মুঠোয় চলে যাবে। হাসতে হাসতে কিবু বলে দেন, ‘আমি তা মনে করি না। লিগ তো সবে অর্ধেক হয়েছে। বাকি সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে।’ এর কিছুক্ষণ পরই গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে পাপা বাবাকার দিওয়ারা বললেন, ‘কোন ম্যাচ জিতলে খেতাব পাব, তা বলার সময় এখনও আসেনি। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সব ম্যাচ জিতে যেতে হবে।’