এনআরসি হচ্ছে না। আজ সংসদে এমনটাই জানাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরমধ্যেই এনপিআর নিয়েও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাল সরকার। জানা গেছে, এনপিআরের সময় কোনও নথি চাওয়া হবে না। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জনসংখ্যা পঞ্জিকরণের সময় আধার নম্বর দেওয়াটাও ঐচ্ছিক। প্রসঙ্গত, এনপিআর প্রস্তুত করা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে এখন কেন্দ্রের আলোচনা চলছে। জনসংখ্যা পঞ্জিকরণের সময় প্রত্যেক পরিবার ও ব্যক্তির সম্বন্ধে সাম্প্রতিকতম জনসংখ্যা সংক্রান্ত ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ এবং সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এদিন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এনপিআর ২০২০ নামে একটি ম্যানুয়াল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে প্রতিটি ব্যক্তি তাঁর নিজের সম্বন্ধে সেই তথ্যই দেবেন যতটা তাঁর জানা আছে বা যেটি তিনি বিশ্বাস করেন। একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে রাই বলেন, ‘এনপিআরের সময় কোনও নথি সংগ্রহ করা হবে না।’ একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সংশয় রয়েছে কিনা সে কথাও জানতে চাওয়া হবে না এনপিআরের সময়।
এবছর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ‘সুমারির জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে এবং ব্যক্তি ও পরিবারের ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হবে। উত্তরদাতাকে জানাতে হবে সে ব্যাপারে তিনি যা জানেন সেই তথ্য। আধার নম্বর দেওয়া ঐচ্ছিক।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘জনসংখ্যাপঞ্জি হল এমন একটি পঞ্জি যেখানে কোনও গ্রামাঞ্চল, শহরাঞ্চল বা অন্য কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তির সম্বন্ধে তথ্য নথিভুক্ত করা থাকে।’