দিন কয়েক আগেই বলিউডের অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে পাকিস্তানের প্রেমে পড়েছে শাসক দল। তারা সব জায়গাতেই পাকিস্তানকে দেখছে। এই সরকার যে ভাবে পাকিস্তানের মন্ত্র জপ করছে, আমার ঠাকুমাও ততবার হনুমান চালিসা জপ করেন না।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, ‘আমরা কিছু বললে বলবে সবাই পাকিস্তানি। আপনি কেন প্রতিদিন পাকিস্তানের কথা বলেন? পাকিস্তান কি আপনার বড় বন্ধু?’ এবার আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল যে দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে শাহিনবাগের পাশাপাশি পাকিস্তানকে হাতিয়ার করেই প্রচার করছে বিজেপি। কারণ সম্প্রতি এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যে, দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবথেকে বেশি পাকিস্তানের নামই জপেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হ্যাঁ, যত না উন্নয়ন, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি, তার থেকে বেশিবার পাকিস্তানের নাম করেছেন যোগী। ৪৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে আটবার পাকিস্তানের নাম জপেছেন তিনি।
নির্বাচনী সভায় দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর পাকিস্তানের ভাষা বলার অভিযোগ তুলেছেন যোগী। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলার সময়ই এই অভিযোগ করেন তিনি। ‘৩৭০ নিয়ে ওদের মিল দেখতে পেয়েছেন তো। ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ইমরান খানের সুর হুবহু মিলে যায়। আপনারাই তো শুনেছেন,’ বলেন যোগী। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এখন যখন দিল্লীতে নির্বাচন হচ্ছে তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে কে বয়ান দিচ্ছে? পাকিস্তানের মন্ত্রী।’ পাকিস্তানের মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের কথা টেনে বলেন যোগী। তিনি টুইটে দিল্লি নির্বাচনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যার পাল্টা দিয়ে কেজরিওয়াল টুইট করে বলেন, নরেন্দ্র মোদী আমারও প্রধানমন্ত্রী। আপনার উপদেশের কোনও প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে শাহিনবাগের প্রতিবাদ নিয়েও সরব যোগী দাবি করেন যে, এভাবে লাগাতার শাহিনবাগে প্রতিবাদ চলছে তাতে দিল্লীর ট্রাফিকে সমস্যা হচ্ছে। এতে দিল্লিবাসী কেজরিওয়ালের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন এবং নিজের সমর্থনের জন্য পাক মদত নিতে হচ্ছে তাঁকে৷