সিএএ-এনআরসি-এনপিআর এর প্রতিবাদে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী।
মঙ্গলবারের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি তোমার কত শক্তি , আমি দেখতে চাই৷ ভোটের জন্য অনেকে মিথ্যা কথা বলে৷ অনেকে গন্ডগোল পাকান, আমি সেই দলে নেই৷ মতুয়া ও অনুকুল ভক্তরা আসলে বুকে স্থান দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জগাই মাধাইদের মত নই৷আমি ভোট চাইতে আসিনি৷ আমরা ভোটের সময় চৌকিদার বলি না৷মানুষের বিপদে থাকি।’
আবারও মমতা বলেন, ‘বাংলায় এনআরসি করতে দিতে দিচ্ছি না, দেব না৷’ মমতার অভিযোগ, এনআরসির প্রথম ধাপ হিসাবে এনপিআর-কে ঢুকিয়ে দিয়েছে৷ তাই আমি এনপিআর করতে দিচ্ছি না।’ তিনি উল্লেখ করেন যে তিনি উদ্বাস্তদের নি:শর্তে জমির দলিল দিয়েছেন৷ বড় মা-র সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথাও বলেন এদিন৷
এর আগে বনগাঁতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে মোদীর সরকারেরে সমালোচনা করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, জয় শ্রীরাম বলে বাংলা দখল করতে চেয়েছিল বিজেপি৷ এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধেই লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের৷ কারণ ধর্ম নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করে না৷
সেদিনের সভা থেকে মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার আগে বাংলায় কোটি কোটি টাকা তহবিলে দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তা হয়নি৷ অন্যদিকে সিপিএমের ঋণের প্রায়শ্চিত্ত করে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷
তিনি আরও বলেছিলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য মমতার সরকার যা করেছে , মোদীর সরকার কিছুই করেনি৷ ঠাকুরনগরের নামে বিশেষ রেল ব্যবস্থাও একসময় করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ কিন্তু মোদী কী করেছেন? কোনও বিশেষ সম্মানও প্রদর্শন করার কথা বলেননি৷ এমনকি মতুয়া উচ্চারণও ঠিক মতো করেননি, বলেছেন মাতুয়া৷ হরিচাঁদ ঠাকুরকে বলেছেন হরিশচন্দ্র ঠাকুর৷ এভাবেই বনগাঁ জনসভা থেকে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন অভিষেক৷