আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনসের প্রকাশিত দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেক পরিবারতো চার-পাঁচ পুরুষ ধরে অসমে বাস করছে। এনসিআরসি-র খসড়া প্রকাশেই স্পষ্ট আসামে বাঙালি খেদাও চলছে।” আসামের মানুষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার জনগণ রয়েছেন বলেও এদিন পরিষ্কার করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাদের নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা কেউ রহিঙ্গা নয় বলে এদিন নবান্নে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। “যারা সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়েছেন তাদের বাংলাদেশ না নিলে কী করবেন?”, কেন্দ্রকে প্রশ্ন মমতার।
এই ঘটনায় আসাম বাংলা সীমান্তে অশান্তির আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানবতা ও আগুন নিয়ে না খেলার জন্যও এদিন কেন্দ্রকে সতর্ক করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনসের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া মানুষগুলিকে সমবেদনা জানিয়ে মমতা বলেন, “যারা রিফিউজি হয়ে গেল তারা আমার ভাই, বোন। তাদের পাশে সব সময় রয়েছি।”
এনআরসি-র দ্বিতীয় খসড়া তালিকা থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ার পিছনে কেন্দ্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। “ভোটের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি মমতার।” তাঁর প্রশ্ন, “এত বড় ইস্যুতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা হয়নি, এমনকি এই বিষয়ে আসামের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে কেন কিছু জানানো হল না কেন? “
সম্পূর্ণ বিষটি খতিয়ে দেখতে আসামে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে, প্রয়োজনে তিনি নিজেই সেখানে যেতে পারেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে মমতা বলেন, “বিভেদের রাজনীতি করতে ব্যস্ত বিজেপি। মানুষের স্বার্থ বিরোধী কাজ মানবে না তৃণমূল।” দেশের স্বার্থে সংসদের চলতি আধিবেশনেই তৃণমূল সাংসদরা এনআরসি তালিকা নিয়ে সরব হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যতে বিরোধীদের একজোট করে মোদী সরকারকে বিরোধীরা যে নিশানা করবে তা তৃণমূল নেত্রীর কথাতেই পরিষ্কার।