শনিবারই সংসদে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। তবে শুধু বিরোধীরাই নয়, কেন্দ্রীয় বাজেটে অখুশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ(আরএসএস)-ও। হ্যাঁ, নির্মলা বাজেটে উচ্চশিক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়ায় চটেছে সঙ্ঘ। তাদের অভিযোগ, দেশে ‘শিক্ষার দোকান’ খুলতে চাইছে সরকার। অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের পরই খোলাখুলি নিজেদের এই অখুশির কথা জানিয়েছে সঙ্ঘের অর্থনৈতিক শাখা ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’। তাদের মতে, শিক্ষায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি কার্যকর হলে দেশের সম্পদ ধীরে ধীরে চলে যাবে বিদেশে।
আরএসএসের ছত্রছায়ায় থাকা সংগঠনগুলির মধ্যে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সময় মত প্রকাশ করে লঘু উদ্যোগ ভারতী, ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ ও ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের জাতীয় সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে ডেকে আনা মোটেই গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নয়। আমাদের দেশেই উচ্চশিক্ষার আরও বিস্তার সম্ভব। নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে নজর দিক সরকার।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যে কোনও ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ঘোরতর বিরোধী এসজেএম। কীভাবে মোদী সরকারকে এই নীতি থেকে বিরত করা যায়, সে নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা হবে।
শনিবার লোকসভায় বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, এবার শিক্ষা ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। অশ্বিনী মহাজন বলেছেন, ‘বিদেশি মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, এই ধারণা থেকে যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা হলে তা ভুল হবে। কারণ একটিও খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতে তাদের ক্যাম্পাস তৈরি করবে না। শিক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হলে দেশ জুড়ে ‘টিচিং শপ’ গড়ে উঠবে। ভারতীয়দের পকেট থেকে টাকা বিদেশেই চলে যাবে। তাই উচ্চশিক্ষায় বিদেশি সংস্থাকে ডেকে আনা মেনে নেওয়া হবে না।’