এবার নদীয়াবাসীকে এক নয়া উপহার দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই এবার নদীয়ায় নির্মিত হতে চলেছে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এক ঝা চকচকে নয়া জেটি।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের সঙ্গে নদীয়ার জলপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল কাটোয়া-বল্লভপাড়া জেটিঘাট। রোজ গড়ে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ ও বিভিন্ন যান পারাপার হয় এই জলপথে। কাটোয়ার দিকে জেটি থাকলেও নদীয়ার বল্লভপাড়ার দিকে জেটি ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। স্থায়ী জেটির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যাত্রীদেরও। সেই দাবি এবার মিটতে চলেছে।
রাজ্যের জলপথ পরিবহণ দফতরের তিন কর্তা রাজ্য পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের বাস্তুকার শান্তিরঞ্জন পাল–সহ দেবজ্যোতি রায়চৌধুরি ও শীর্ষেন্দু মাঝি কাটোয়ায় এসে পুরপ্রধান রবিবাবুর সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তাবিত জেটির স্থানটি সরেজমিনে দেখে জেটি তৈরির ব্যাপারে সবুজসঙ্কেত দেন। বল্লভপাড়া ঘাটে জেটি তৈরির ব্যাপারে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক নকশার কাজ শেষ। জেটির দৈর্ঘ্য হবে ৭০ মিটার। এটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
আধিকারিকেরা জানান, খুব শীঘ্রই মাটি পরীক্ষার কাজ হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি জেটি নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে। কাজ হবে জেনে খুশি নদীয়ার বাসিন্দা নিত্যযাত্রী পেশায় শিক্ষক শ্রীকান্ত সাহা, স্বাস্থ্য কর্মী নমিতা মণ্ডলরা। এর জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তাঁদের কথায়, ‘বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। দীর্ঘদিনের সেই দুর্ভোগে ইতি পড়বে। ধন্যবাদ রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’