ওমর আবদুল্লা মানে ক্লিন সেভড ঝকঝকে লুক। এতদিন পর্যন্ত সেটা দেখতেই অভ্যস্ত ছিল দেশবাসী। কিন্তু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি নিয়ে কয়েকদিন আগে হইহই পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়। যেখানে লম্বা দাড়ির ওমরকে দেখে প্রথমে চিনতেই পারেননি কেউ। সেই ছবিই এখন বিতর্কের মূলে।
একগাল দাড়ির গৃহবন্দী ওমরকে দেখে কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলেছিলেন সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা। কেউ আবার তাঁর চেহারা দেখেই বলে দিয়েছিলেন, কাশ্মীরে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। তাঁরই শিকার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপির সরকারি টুইটার হ্যান্ডল থেকে ওমরকে বিদ্রুপ করতে গিয়ে এমনই এক টুইট করা হল, যাতে সাধারণ মানুষ তো বটেই, দলের ভাবমূর্তি নষ্টের ভয়ে ফুঁসে উঠলেন খোদ শীর্ষ বিজেপি নেতাও। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শেষমেশ ওই টুইটটি মুছে দিতে বাধ্য হয় তামিলনাড়ু বিজেপি।
কী ছিল সেই টুইটে? একগুচ্ছ ডিসপোজাল রেজারের ছবি দিয়ে তামিলনাড়ু বিজেপির তরফে লেখা হয়েছিল, ‘ওমর আবদুল্লাকে এই উপহার পাঠানো হয়েছে বিজেপির তরফে।’ যা দেখার পর মুহূর্তেই সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিল্লী বিজেপির শীর্ষ নেতা মনোজ তিওয়ারি পর্যন্ত ওই টুইট নিয়ে লেখেন, এই রকম রুচিহীন কাজ বিজেপিকে মানায় না। গেরুয়া শিবিরের অন্য এক সমর্থক লেখেন, এসব করে আসলে বিজেপিই বিজেপির ক্ষতি করছে। যার ফলে চাপে পড়ে আধঘণ্টার মধ্যেই ওই টুইট মুছতে বাধ্য হয় তামিলনাড়ু বিজেপি।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহারের সময় থেকেই ওমর গৃহবন্দী। একগাল কাঁচা-পাকা দাড়ি, নীল জ্যাকেট আর মাথায় টুপি পরিহিত সেই ছবি দেখে অনেকেই প্রথমে ঠাওর করতে পারেননি ওমর বলে। টুইট করে খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত লেখেন, ‘এই ছবিতে আমি ওমরকে চিনতেই পারিনি। আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। দুর্ভাগ্য আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এখন এটাই চলছে। এর শেষ কবে?’ এই পরিস্থিতিতে ওমরকে নিয়ে বিদ্রূপ করতে গিয়ে এবার নিজের মুখই পোড়াল গেরুয়া শিবির।