নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া জেএনইউ-র গবেষক শারজিল ইমাম ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জেএনইউ ছাত্রের ভাইকে মঙ্গলবার সকালে আটক করে বিহারের জাহানাবাদ পুলিশ। সেখানেই তাকে জেরা করা হয়। এরপর দুপুরে বিহার থেকেই গ্রেফতার হন শারজিল।
এই ঘটনায় আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় ধৃতের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সোমবার দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয় জেএনইউ-এর গবেষক শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় আসামকে বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আহ্বান জানান তিনি। সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠান জেএনইউয়ের চিফ প্রোক্টর। এ দিকে তাঁর খোঁজে দিল্লী, মুম্বই ও পাটনায় অভিযান চালানো হয়েছে। তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার হয়েছেন শারজিল। হিন্দী ও ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে বিক্ষোভের প্রচার করেছেন। শাহিনবাগে যে ধর্না হচ্ছে তারও অন্যতম প্রধান মুখ বলা হয় এই শারজিল ইমামকে। তবে সারজিলের ওই বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের তরফে একটা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শাহিনবাগে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন ৪৩ দিনে পড়ল। দিনে দিনে আন্দোলনের পরিসর বেড়েছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাই এই আন্দোলনকে কোনও একজন শারজিল ইমাম বা কারও একার আন্দোলন বলা যাবে না। এটা জনগণের আন্দোলন। এই আন্দোলনের কোনও নেতা বা মুখ নেই।’