শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাড়া জাগানো রাজনৈতিক কর্মসূচি হল ‘দিদিকে বলো’। যা আট থেকে আশি বছরের মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। সেই কর্মসূচি নিয়েই এবার পুর ভোটের আগে তৈরি হয়েছে যাত্রাপালা। তাতে সরাসরি দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মতো চরিত্রকে।
ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রা করেন। কিন্তু হঠাৎ করে ‘দিদিকে বলো’র মতো রাজনৈতিক বিষয়কে নিয়ে যাত্রা করার ভাবনা কেন এল? এটা কি সব মানুষ গ্রহণ করবে? অরুময়বাবু কথায়, এটা তৃণমূল দলের রাজনৈতিক স্লোগান হলেও আমজনতার সকলের যাতে ভালো হয়, সেই উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচি করেছেন। কিন্তু দিদিকে বলো কর্মসূচি করতে গিয়ে আমাদের নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা হল, কর্মসূচিতে দলের অনুগতরা ছাড়া বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষকে টেনে আনা যাচ্ছে না। তাঁদের সকলে মনে করছে এটা তৃণমূলের দলের কর্মসূচি। বাস্তবে তা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলমত নির্বিশেষে রাজ্যের সকলের অভিভাবক। সেই জায়গা থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচি হল সকলের সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। এটাই সকলের মধ্যে ছড়িয়ে সচেতন করার জন্য এই যাত্রাপালা।
পালাকার নীলকমল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এর আগে ‘দিদি বলো’ র মতো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে এমন সাহসী পালা লেখা থেকে মঞ্চস্থ করার উদ্যোগ কেউ করেনি। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে তাঁদের টিম এ কাজে প্রথম নামল। তবে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভিভিআইপিদের নাম থাকায় ওই সব চরিত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সচেতন ও পরিপক্কদের নেওয়া হচ্ছে। যাতে ওই সব ভূমিকায় যাঁরা অভিনয় করবেন, চরিত্রকে ঠিকঠাক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।