প্রায় ৪০ দিন ধরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধরনা মঞ্চে ঠায় বসে রয়েছেন মহিলারা। শিশুরাও থেমে নেই। মায়ের কোলে বসেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। এই আন্দোলন দেশজুড়ে আলোড়িত হয়েছে একটাই কারণে, পুরোভাগে রয়েছেন মহিলারা। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা সমাজের ‘রক্তচক্ষু’ এড়িয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের মহিলারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তা দেখে রীতিমত ঘাবড়ে গেছেন যোগী।আর তাই এবার কুতসিত আক্রমণে নামলেন তিনি। তিনি বললেন পুরুষদের কি আন্দোলনে নামার মুরোদ নেই?
নয়া নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এক সভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি শাহিনবাগের আন্দোলনকে নিশানা করে ‘লিঙ্গ বৈষম্য’ বিতর্ক উস্কে দেন। যোগী বলেন, “পুরুষদের আন্দোলনের যোগ দেওয়ার সাহস নেই। মহিলারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে। শিশুদেরও হাতিয়ার করছে তারা।” যোগীর এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মহিলাদের এই আন্দোলনকে আদৌ খাটো করে দেখছেন না ভয় পাচ্ছেন?
নয়া নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে এক সভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি শাহিনবাগের আন্দোলনকে নিশানা করে ‘লিঙ্গ বৈষম্য’ বিতর্ক উস্কে দেন। যোগী বলেন, “পুরুষদের আন্দোলনের যোগ দেওয়ার সাহস নেই। মহিলারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে। শিশুদেরও হাতিয়ার করছে তারা।”
যোগীর এই মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে চারপাশে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মহিলাদের এই আন্দোলনকে আদৌ খাটো করে দেখছেন না ভয় পাচ্ছেন?
শাহিনবাগের এক মহিলা জানাচ্ছেন, পেট তো চালাতে হবে। তাঁরা সকালে কাজে বেরিয়ে যাচ্ছেন। রাতে পুরুষরাই খাবার বানিয়ে সাহায্য করছেন। অন্য এক আন্দোলনকারী বলছেন, মহিলারা প্রতিবাদ জানালে ওনার অসুবিধা কোথায়? আসলে ভয় পেয়েছেন তিনি। ঘর, সমাজের নানা ট্যাবু পেরিয়ে অধিকাংশ সংখ্যালঘু মহিলারা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তা এখন দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলে।