ডার্বি জেতার আত্মবিশ্বাস আছে, আবার একইসঙ্গে পরপর ম্যাচ খেলার ক্লান্তিও আছে মোহনবাগান শিবিরে। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে নেরোকার মুখোমুখি হওয়ার আগে সেটা কাটিয়ে দলকে চাঙ্গা রাখাই লক্ষ্য মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভিকুনা বলেন, ‘আই লিগের চল্লিশ শতাংশ ম্যাচ খেলেছি। বাকি আছে ষাট শতাংশ। তাই অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চাই। নেরোকা এফসি যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ঘরের মাঠে আয়োজিত গত ম্যাচে ওরা রিয়াল কাশ্মীরকে হারিয়েছে। ওই ম্যাচ দেখেছি আমি। জানি, বৃহস্পতিবারের ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তোলার জন্য সেরা পারফরম্যান্সই মেলে ধরতে হবে আমাদের। নেরোকার বিদেশিরা বেশ দক্ষ ফুটবলার। পাশাপাশি স্বদেশিদের মধ্যেও সম্ভাবনা রয়েছে। গা-ছাড়া মনোভাব দেখালেই পদস্খলের আশঙ্কা।’
মোহন বাগানে রয়েছেন মণিপুরের দুই ফুটবলার ধনচন্দ্র সিং ও নংডাম্বা নাওরেম। ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন নাওরেম। পাশাপাশি ধনচন্দ্রও ভালো খেলার চেষ্টা করেছেন।
এদিন কোচ কিবু ভিকুনার মুখেও নাওরেমের প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘ওর মধ্যে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। তবে এখনও বহুদূর যেতে হবে নাওরেমকে। সাফল্যের খিদে ধরে রাখার জন্য ও প্রচুর পরিশ্রম করে। ধনচন্দ্রও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। মণিপুরের এই দুই ফুটবলারই মোহন বাগানের সম্পদ।’
কোচ ভিকুনা খুব প্রয়োজন না হলে দলে বদল আনেন না। তাই নেরোকার বিরুদ্ধে ডার্বিতে শুরু করা প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত থাকারই সম্ভাবনা। একমাত্র গোলকিপার পজিশনে শঙ্করের জায়গায় দেবজিতের খেলার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। মণিপুরের ছেলে নওরেম ও ধনচন্দ্র। ডার্বিতে নাওরেম দুরন্ত পারফরমেন্স করে নজর করেছেন। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কোচ ভিকুনা। নেরোকার মোকাবিলায় ভিকুনা কাজে লাগাবেন নাওরেমের টিপসও।
প্রতিপক্ষ নেরোকা ৭ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৬ নম্বরে থাকলেও তাদের হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাগান কোচ। তাঁর মতে, ‘পয়েন্ট দেখে প্রতিপক্ষের বিচার করা ভুল। সব দলের মধ্যে পার্থক্য কম। আজ এ ওকে হারাচ্ছে, কাল ও একে। নেরোকা গত ম্যাচেই রিয়েল কাশ্মীরকে হারিয়েছে। মনোবল ভাল জায়গায় রয়েছে ওদের। তাছাড়া ঘরের মাঠে সমর্থন পাবে। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি থাকা জরুরি।’
নেরোকা কোচ গিফট রাইখানও পাল্টা সমীহ করছেন বাগানকে। বলেন, মোহনবাগান শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ওদের গুরুত্ব না দেওয়াই বোকামি। তবে আমার ফুটবলাররা পয়েন্ট পেতে লড়বে।