শরিকদের নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরের পর এবার এনডিএ-র সঙ্গত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন লোকজনশক্তি দলের প্রধান রামবিলাস পাসওয়ান। আর এই সুযোগেই এনডিএ-শরিকদের অসন্তোষের সুরে সুর মেলালেন কংগ্রেস সভাপতি।
বিগত কয়েক মাস ধরেই রামবিলাস পসোয়ানের দাবি, দলিতদের আইন লঘু করা যাবে না। সরকারকে অর্ডিন্যান্স আনতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্টের যে প্রাক্তন বিচারপতি এ কে গয়ালের বেঞ্চ এই আইনকে লঘু করেছিলেন, তাঁকেও সরিয়ে দিতে হবে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদ থেকে। উল্লেখ্য অবসরের দিনই বিচারপতি এ কে গয়ালকে উপহারস্বরূপ দেওয়া হয়েছিল গ্রিন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদটি ।
রামবিলাসের পুত্র চিরাগ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন মোদীকে। তিনি বলেন, “সরকার দাবি না মানলে ৯ অগস্ট দলিতদের আন্দোলনে তাঁরাও সামিল হবেন। মানুষ ও সরকারের মধ্যে বাছতে হলে জনতার পাশেই থাকবেন।”
গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে এনডিএ শরিকদের এই আসন্তোষকে কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছন রাহুল গান্ধী। তাঁর মতে ‘‘যাক, সুমতি হয়েছে!
শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে আগেই ‘একলা-চলো’র ঘোষণা করেছেন। অমিত শাহের মধ্যস্থতায়ও বরফ গলেনি। বরং অমিত শাহ এখন দলকে একা লড়ার প্রস্তুতি নিতে বলছেন। এবার হুঁশিয়ারি আরও এক শরিক এলজেপি-র। সব মিলিয়ে মুখে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বললেও লোকসভার আগে ক্রমশ ব্যাকফুটে মোদী-শাহ জুটি।