দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। তার মধ্যেই সিএমআইই-র রিপোর্ট ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলওর রিপোর্টে উঠে এল দেশের দুর্দশার চিত্র। বিগত সাড়ে চার দশকে দেশের বেকারত্ব এমন অবস্থায় এসে পৌঁছায়নি। দেশের বেকারত্বের হার এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ৷ শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব বাড়ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আশঙ্কা, চলতি বছরে গোটা বিশ্বে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ বেকারত্বের তালিকায় নাম লেখাতে পারেন।
এদিকে সিএমআইই-র রিপোর্ট বলেছে, দেশে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার বেড়েছে ৭.৫%। কাজ খুঁজতে গিয়ে সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। অন্য দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রিপোর্টে প্রকাশ, বিশ্বে অর্থনীতি ঝিমিয়ে। কাজ করার মতো লোক বাড়ছে, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে নতুন কাজ তৈরি হচ্ছে না। এর ফলে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা।
সিএমআইই-র রিপোর্ট বলেছে, দেশে ২০১৭ সালের মে-অগস্টের পর থেকে টানা সাত দফা বেকারত্বের হার বেড়েছে। নোটবন্দীর পরে ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল সাড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ (৬.১%)। পরে সামনে আসে, গ্রামে প্রকৃত (মূল্যবৃদ্ধি বাদে) আয় বাড়ছে না বললেই চলে। শিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ায় দেশ আরও পিছিয়ে পড়ছে। কারণ, কাজ নেই তেমন। দেশের শিল্পের অবস্থাও শোচনীয়। তাই ব্রেন ড্রেনের পরিমানও বাড়ছে। বেশির ভাগ মানুষ দেশে চাকরী ও তার আবহ না থাকায় দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
আইএলওর রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে কর্মহীনের সংখ্যা কমপক্ষে ১৮ কোটি ৮০ লক্ষ৷ সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত বেতন পাচ্ছেন না৷ ১২ কোটি তরুণ-তরুণী বেকার। ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ যুব সম্প্রদায়ের কাছে কাজের কোনও প্রশিক্ষণ নেই৷