সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হওয়ার পরেই বিজেপি নেতামন্ত্রীদের কুরুচিকর আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। গতকাল কোচবিহারের জনসভা থেকে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে কোনও লাভ নেই, সাফ জানালেন তিনি। নজর ঘোরাতেই পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনও কটাক্ষ করলেন দিলীপ।
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার কোচবিহারে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দিতে সকালেই কোচবিহার পৌঁছন বিজেপি সাংসদ। সিএএ-র সমর্থনে মিছিলে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী যাই করুন, তাতে কোনও লাভ নেই।’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকেও কটাক্ষ করেন তিনি। দাবি করেন, নাগরিকত্ব ইস্যুতে বাংলা অশান্ত, তাই রাজ্যবাসীর নজর ঘোরাতেই পাহাড়ে পাড়ি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে কোচবিহারেই সভাও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর এ দিনের সভা থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ৫০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীকে দেশ ছাড়া করা হবে।
জনসভা থেকে সাংসদ বলেন, ‘রাজ্যে ৭০ লক্ষ মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫০ লক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর ভোটার। সেই ৫০ লক্ষকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তাঁদের দেশ ছাড়তেই হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই তাঁদের বাঁচাতে পারবেন না, এমনই হুঙ্কার দেন দিলীপ। দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী ভোটবাক্সের জন্য নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন। তাঁর কথায়, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য দায়ী লুঙ্গিবাহিনী। আর মুখ্যমন্ত্রী ভোটের জন্যই তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।’ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যতই বলুক এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, দিলীপের বক্তব্যেই পরিষ্কার এই আইন লাগু করেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে এবং সেটা ধর্মের ভিত্তিতে।