মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মানুষ যতই প্রতিবাদ করুক, এ দেশে সিএএ চালু হবেই। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, বিএসপির সুপ্রিমো মায়াবতীর নাম নিয়ে শাহ বলেন, এই বিরোধী নেতারা দেশের মানু্ষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এ নিয়েই এবার শাহের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বললেন, ক্ষমতা থাকলে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি লাগু করে দেখান।
বুধবার সকালে একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘জনগণের মতামত না নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা সরকারের শক্তি হতে পারে না। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের জন্য যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা না থাকে, তাহলে যেভাবে এতদিন প্রচার করে আসছেন সেভাবেই সিএএ ও এনআরসি লাগু করে দেখান।’ গতকাল লখনউয়ে একটি র্যালিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই দুই আইন লাগুর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘আমরা বিক্ষোভের ভয় পাই না। আমরা তো বিক্ষোভ, আন্দোলনের মধ্যে জন্মেছি, বড় হয়েছি। বিরোধী থাকার সময়ও আমরা একই কথা বলতাম। ক্ষমতায় আসার পরেও বলি। যে যাই বলুক এই দুই আইন কার্যকর হবে।’ শাহের ওই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা দিলেন পিকে।
অবশ্য শুধু এদিন নয়, এর আগেও বারবার এই আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জনতা দলের এই সহ-সভাপতি। এই বিষয়ে নীতিশ কুমারের দলের অন্দরেই বিরোধ দেখা যায়। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির ক্ষেত্রে বিজেপিকে প্রথমে সমর্থন জানিয়েছিলেন নীতিশ কুমার। তারপরেই তাঁর দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত ও আর এক নেতা পবন বর্মা সবার সামনে নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তারপরে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির প্রথম জোটসঙ্গী যিনি এই দুই আইনের বিরোধিতা করেন নীতীশ। শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে নয়, রাজ্যস্তরেও প্রতি মুহূর্তে টুইট যুদ্ধ চলছে প্রশান্ত কিশোর ও বিজেপি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর মধ্যে।